August 1, 2025, 8:47 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া সীমান্তে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
আহতের নাম রিয়াদ হোসেন (২০)। তিনি মহেশপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
ভারতের কুসুমপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা এই গুলির ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।
এপ্রিল মাসে একই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরও দুটি প্রাণঘাতী ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল।
রিয়াদের চাচাতো ভাই সুমন মিয়া জানান, রিয়াদ একজন কৃষক। তিনি রাত সাড়ে ১১টার দিকে হালকা বৃষ্টির মধ্যে মাঠে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একটি গুলি তার শরীরে লাগে।
স্থানীয়রা রিয়াদকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ইমন হোসেন জানান, রিয়াদের শরীর থেকে কয়েকটি গুলির টুকরা অপসারণ করা হয়েছে। তবে একটি গুলি কিডনির পাশে ঢুকে গেছে। যশোরে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মহেশপুরে বিজিবির ৫৮তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, বিজিবি গুলির ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত। তবে তাদের প্রতিনিধি দল আহতের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাননি। তিনি আরও জানান, রিয়াদ কৃষক—এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত বিজিবির হাতে নেই।
তিনি জানান, গুলির ঘটনাটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মাঝামাঝি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকায় ঘটেছে।
এদিকে সীমান্ত এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রিয়াদ সীমান্তপারের চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
এর আগে, ৮ এপ্রিল মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন এবং তার মরদেহ ইছামতি নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২৪ দিন পার হলেও তার পরিবার এখনো মরদেহ ফিরে পায়নি। নিহত ওয়াসিম ছিলেন বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
একইভাবে, ২৭ এপ্রিল একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুল ইসলামকে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বাদগা থানার মধুপুর এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার চার দিন পরেও বিএসএফ তার মরদেহ ফেরত দেয়নি। নিহত ওবাইদুল ছিলেন যাদবপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।
Leave a Reply